স্পর্ধা নিউজ প্রতিদিন অনলাইন ডেস্ক:
সময় কমে আসছে পৃথিবীর! জলে স্থলে আর বাঁচবে না কোনও প্রাণী। ধ্বংস হয়ে যাবে সব? বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এসেছে তেমন তথ্যই।
আলেকজান্ডার ফার্নসওয়ার্থের নেতৃত্বে ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা নেচার জিওসায়েন্সে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, চরম তাপ এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা অতিরিক্ত বাড়ার কারণে পৃথিবী ২৫০মিলিয়ন বছরে সম্পূর্ণ ধ্বংসের সম্মুখীন হবে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ধ্বংস নয়, তার আগে পৃথিবীর পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ। জলে-স্থলে বাঁচবে না কোনও প্রাণী। কীভাবে ঘটতে পারে এই ভয়াবহ পরিণতি, ক্রমাগত তা নিয়ে গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা। ‘ডেইলি মেল’ তাদের একটি প্রতিবেদনে এই আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছেন।
তাতে বলা হয়েছে, দীর্ঘ গবেষণার পর, বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন মানুষ-সহ পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীকুল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। সেই সময় পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়াবে ৭০ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ওই পরিস্থিতিএ শুধু প্রাণী নয়, বেঁচে থাকতে পারবে না উদ্ভিদও। বিজ্ঞানীদের মতে এর অন্যতম প্রধান কারণ, কার্বন ডাই অক্সাইডের বৃদ্ধি, যার জন্য প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে দায়ী মানুষ। এই পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে, তুলনায় ডায়নোসরদের বিলুপ্তর যুগের কথা তুলে এনেছেন বিজ্ঞানীরা।
পৃথিবীর ইতিহাস ব্যাখ্যা করার সময়, বিজ্ঞানীরা উল্লেখ করেছেন, শেষ সুপারকন্টিনেন্ট প্যাঞ্জিয়া ৩৩০ মিলিয়ন থেকে ১৭০ মিলিয়ন বছর আগে স্থায়ী হয়েছিল। এখন, বিজ্ঞানীরা মনে করছেন ২৫০ মিলিয়ন বছর পরে, সমস্ত মহাদেশ একত্রিত হয়ে সুপারকন্টিনেন্ট প্যাঞ্জিয়া আল্টিমা তৈরি করবে। বিজ্ঞানীরা ধ্বংস প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, পৃথিবী প্রথমে উত্তপ্ত হবে, তারপর শুকিয়ে যাবে এবং অবশেষে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। অত্যাধিকের তাপের কারণে লাগাতার অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটবে, যা আরও জটিল করবে পরিস্থিতি।