স্পর্ধা নিউজ প্রতিদিন অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশে অপরেশন গাজীপুর! ‘ডেভিল হান্ট’ নামের বিশেষ অভিযান চালিয়ে গাজিপুরে আরও ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, অভিযানের দ্বিতীয় দিন গাজীপুর শহরে ৭৯ জন ও জেলায় প্রাক্তন সাংসদ-সহ পাঁচ থানায় ২১ আওয়ামি লিগ নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে শুধু গাজীপুরে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে ১৮০ জন। বাংলাদেশ জুড়ে গ্রেপ্তারির সংখ্যা ১ হাজার ৩০০। যদিও ‘ডেভিল হান্ট’-এর ‘ডেভিল’ কারা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ বেছে বেছে আওয়ামি নেতা-কর্মী এবং সমর্থকদেরই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তথাকথিত বিপ্লবী ছাত্রজনতা দলের হামলার বিরুদ্ধে এরা পালটা প্রতিরোধ গড়ে তোলায় ইউনুস প্রশাসনের চক্ষুশূল হয়েছে বলে অভিযোগ।
হাসিনার সরকারের পতনের ছয় মাস পরে ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশের পরিস্থিতি। বংগবন্ধু-বাঙালি জাতিসত্ত্বা-মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতার চিহ্ন ৩২ ধানমন্ডির শেখ মুজিবর রহমানের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ‘বিপ্লবী’ ছাত্রজনতা’র দল। এমনকী গোটা দেশজুড়ে আওয়ামি লিগের নেতাদের বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরের ঘটনার অভিযোগ ওঠে। বিক্ষোভের সেই আঁচ পৌঁছায় গাজীপুরেও। যদিও শুক্রবার রাতে সেখানে পালটা হামলার মুখে পড়ে ছাত্র-জনতা। হাসিনা সরকারের প্রাক্তন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতে একদল যুবক চড়াও হলে পালটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে স্থানীয়রা। তাঁরা হামলাকারীদের কয়েক জনকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হন। আহতদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের ঢাকার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এর পরেই পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় নেয়।
গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়িতে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে তাঁরা। পালটা দাবি করে, শুক্রবার ডাকাতির খবর পেয়ে তা ঠেকাতে ছুটে গিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। সেই সময় তাদের মারধরা করা হয়েছে। এর পরেই চাপে পড়ে প্রশাসন। গাফিলতি স্বীকার করে ক্ষমা চান গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও দায়িত্ব থেকে সরানো হয়।
তথ্যসুত্রঃ
প্রতিদিন।