ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ৩২ ধানমন্ডির বাড়ি।
স্পর্ধা নিউজ প্রতিদিন।। অনলাইন ডেস্ক ।।
কয়েকদিন আগেই চাঞ্চল্যকর এক রিপোর্ট প্রকাশ করে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। এই রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, মাত্র পাঁচ মাসে দেশে খুন হয়েছেন ৩২ হিন্দু। ১৩ জন সংখ্যালঘু মহিলাকে ধর্ষণ ও গণধর্ষণ করা হয়েছে। ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে ১৩৩টি মন্দির। বাংলাদেশের মাটিতে চরম নির্যাতনের শিকার সংখ্যালঘুরা। কিন্তু এরপরও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মহম্মদ ইউনুস বলেছেন, “অতীতের যেকোনও সময়ের চেয়ে আমরা এখন বেশি সৃজনশীল।” এই মুহূর্তে চরম অরাজকতা বাংলাদেশে। দিকে দিকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছতে রীতিমতো ‘ধ্বংসলীলা’ চলছে। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ৩২ ধানমন্ডির বাড়ি।
জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘একুশে পদক-২০২৫’অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ইউনুস। সেখানেই তিনি বলেন, “আমাদের তরুণ প্রজন্ম নতুন পৃথিবী সৃষ্টিতে নেতৃত্ব দিতে চায়। সেই নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তারা প্রস্তুত। ছেলেরাও প্রস্তুত, মেয়েরাও প্রস্তুত। তারা ঘুণে ধরা, আত্মবিনাশী সভ্যতার বন্ধনমুক্ত হয়ে তাদের স্বপ্নের নতুন সভ্যতা গড়তে চায়। যে সভ্যতার মূল লক্ষ্য থাকবে পৃথিবীর সকল সম্পদের উপর প্রতিটি মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা। প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন দেখার এবং সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের সকল সুযোগ নিশ্চিত করা। মানুষের জীবনযাত্রাকে এমনভাবে গড়ে তোলা যাতে করে পৃথিবীর অস্তিত্ব কোনও রকমে বিঘ্নিত না হয় এবং পৃথিবীর উপর বসবাসরত সব প্রাণীর সুস্বাস্থ্য নিয়ে বেঁচে থাকা কোনও ক্রমেই বিঘ্নিত না হয়। আমরা এখন অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী, উদ্যমী এবং সৃজনশীল।”
এদিকে, ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৪ আগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বর এই সময়কালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। সরকার বদলের মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে ২০১০ টি সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটে। এমনকি চাপের মুখে সরকার স্বীকারও করে নেয়, এর মধ্যে ১৭৬৯টি ঘটনার প্রমাণ পেয়েছে তারা। মামলাও শুরু হয়। তবে সেই মামলায় খুব বিশেষ তৎপরতা দেখা যায়নি সরকারের তরফে।
সংবাদসুত্রঃ
প্রতিদিন