স্পর্ধা নিউজ প্রতিদিন অনলাইন ডেস্ক :
আবারও উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে বাংলাদেশে। কেন্দ্রবিন্দুতে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবারই দিনভর জল্পনা চলেছিল পদত্যাগ করার চিন্তাভাবনা করছেন ইউনূস। এরপরেই তাঁর সমর্থকেরা শুক্রবার একটি বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছেন। নাম দেওয়া হয়েছে, ‘মার্চ ফর ইউনূস’। ঢাকার শাহবাগে শুক্রবারের নামাজের পর সেই মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে।
মিছিলকে সফল করতে শহর জুড়ে পোস্টারে ছয়লাপ হয়ে গিয়েছে। সমর্থকদের দু’টি দাবি, এক, ইউনূসকে পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতা রাখা হোক এবং দুই, আগে সংস্কার, তারপর নির্বাচন।
গত ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছাড়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে পদে বসেছিলেন ইউনূস।তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, এই বছর ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে নির্বাচন হবে বাংলাদেশে। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেই পদ থেকে সরে যেতে হবে ইউনূসকে।
বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান দেশে নতুন করে নির্বাচনের ডাক দিয়েছেন। তিনি বুধবার বলেন, “এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত।“ তিনি আরও বলেন, “দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের একচেটিয়া অধিকার একমাত্র নির্বাচিত সরকারের।“
গত কয়েকমাসে একাধিকবার ‘নির্বাচন কবে’-সহ একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন ইউনূস। টানা রাজনৈতিক চাপের মুখোমুখি হয়েই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইউনূস, এই জল্পনা দানা বাঁধতে থাকে। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নাহিদ ইসলাম। যিনি কয়েকমাস আগে পর্যন্ত অন্তবর্তী সরকারের অংশ ছিলেন। যমুনা থেকে বেরিয়ে নাহিদ জানান, ইউনূস আদতেই পদত্যাগের চিন্তাভাবনা করছেন। নাহিদের বক্তব্য, ইউনূস জানিয়েছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আর কাজ করতে পারছেন না তিনি।
এর আগে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি (বিএনপি) দেশে শীঘ্র সুষ্ঠ নির্বাচনের দাবিতে স্পষ্ট পরিকল্পনা করেছিল। মঙ্গলবার বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের উপর ‘নতুন কালো ছায়া’ নেমে আসার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “আসন্ন নির্বাচন বিলম্বিত করতে এবং নাগরিকদের তাঁদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য একটি ‘সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র’ চলছে।“