স্পর্ধা নিউজ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর নিম্নলিখিত বিবৃতি প্রদান করেন।
“গত ৬ জুন রাতে প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশ্যে বক্তৃতার মাঝে আগামী ২০২৬ এপ্রিলে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করেছেন। অথচ ইতোপূর্বে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বারংবার বৈঠকে নিবন্ধিত সকল রাজনৈতিক দল ডিসেম্বর ২০২৫ নির্বাচনের উপযুক্ত সময় বলে দাবি জানিয়েছিল। দেশের জনগন আইনশৃঙ্খলার অবনতি, মবজাস্টিস, নারীর প্রতি সহিংসতা, মৌলবাদী শক্তির তান্ডব, প্রশাসনে অস্থিরতা, সরকারশ্রয়ী একদল লোকের অবৈধ হস্তক্ষেপ, অর্থনীতির নি¤œগতি, কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া, সর্বপরি সামাজিক অনিশ্চতায় মানুষ আর নিতে পারছে না। চট্টগ্রাম বন্দর, মানবিক করিডরের নামে মার্কিন স্বার্থের সংগে নিজেদের ক্ষমতার স্বার্থকে একীভূত করে গণতন্ত্রহীন একরোখা ফ্যাসিবাদী আচরণ করছে অন্তবর্তী সরকার যা কোন ভাবেই জনগণ মানছেন না। এই পরিস্থিতি অব্যহত রেখে অন্তবর্তী সরকার ক্ষমতা প্রলম্বিত করতে চাইলে দেশকে গৃহযুদ্ধের মধ্যে ঠেলে দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ২০২৬ এপ্রিল নির্বাচনে জন্য কোন ভাল সময় নয়। আবহাওয়াগত কারণ, স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা, কৃষিকাজের সময় সব মিলিয়ে ঐ সময় নির্বাচন এদেশে অতীতে কখনও হয়নি। তাছাড়াও সরকার বাজেট ঘোষণা করেছেন, সেই বাজেটে নির্বাচনী বরাদ্দও ধরা হয়নি। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠে এপ্রিলে সরকার নির্বাচন করতে চাচ্ছেন নাকি একটি তারিখ ঘোষণা করে ড. ইউনুস তার অঘোষিত রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছেন? জনমনে সন্দেহ জিইয়ে রেখে নির্বাচন পরিবেশ সৃষ্টি করা যায় না এটি সর্বজনবিদিত। মুক্তিযুদ্ধের ৫৪ বছরের বাংলাদেশ একটি জাতি রাষ্ট্র হিসেবে যতটুকু এগিয়েছে, তার স্বাধীনতা সার্বভৌম শক্তি নিয়ে দেশটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে সম্মান সুনাম নিয়ে এগিয়েছিল তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হলে অতিদ্রæত ডিসেম্বর ২০২৫ নির্বাচন দিয়ে ড. ইউনুসের সরকারের দায়িত্ব ভার শেষ করা উচিত। এর ব্যত্যয় ঘটালে নির্বাচনের দাবিতে এদেশের জনগন গণআন্দোলন গড়ে তুলবে। অতীত ইতিহাস তাই বলে।