স্পর্ধা নিউজ প্রতিদিন ।। রাজনীতি।।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় জুলাই আন্দোলনের সংগটঠনের এক নেতা এ কথা বলেন। তাহলে প্রশ্ন জাগে জুলাইয়ের স্বপ্ন কি ভংগ হচ্ছে ?
‘কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন (২০১৮-২০২৪)’ এখন তারা জাতীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা বলছেন ‘জুলাই বিভাজন নয়, ঐক্যের প্রতীক। আমরা শুরু থেকেই জাতীয় সরকার গঠনের কথা বলে আসছি। জাতীয় সরকার না হওয়ায় আজকে দেশে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যে যেভাবে পারছে, সেভাবে কাজ করছে। কোনো কোনো দল ভাবছে, তারা ক্ষমতায় চলে এসেছে। কিছুই মানতে চায় না। বিভেদ তৈরি হয়।
তারা এখন আরও বলছেন, ঐকমত্য কমিশনে বেশির ভাগ নেতাকর্মীর কণ্ঠেই অনৈক্যের সুর।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যেও তারা হতাশা ব্যক্ত করে বলছেন, ‘লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে যা বলছেন তা দুঃখজনক। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আমরা হতাশ। সবাই আপস করলেও আওয়ামী লীগের প্রশ্নে আপস করবে না। অনেকেই আবার জাতীয় পার্টিকে ফেরানোর কথা বলছে। আমরা স্পষ্ট বলছি, জাতীয় পার্টি হলো আওয়ামী লীগের দোসর। ১৪ দলের প্রশ্নে আমরা কোনো আপস করব না। এই প্রশ্নে কোনো রাজনৈতিক দল বা উপদেষ্টা কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’ তাহলে কি জামাত্ হেফাজত,হিজবুতাহরির আর জংগিদের দিয়ে যে দেশ বানাবেন তা আর যাই হোক বাংলাদেশ হবেনা। অন্য কিছু হবে।
তারা বলছেন, ‘গণ–অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া সবার কৃতিত্ব স্বীকার করতে হবে। সবার মধ্যে একতা ধরে রাখতে হবে। ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হলেই আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে। আর হাসিনা যদি ফিরে আসে, তবে সব বিপ্লবীকে ফাঁসিতে ঝোলাবে। আসলে কথাটা হয়তো ঠিকই বলেছেন । ইতিহাসো তাই বলে।
তাই আসুন, এখন সময় এসেছে মক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতা- সংবিধান ও চার মৌলনীতি রক্ষায় সবার মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করি। নিজেদের মধ্যে সহনশীলতা ছাড়া সেই ঐক্য সম্ভব নয়। ঐক্য কেউ একলা চাইলে হবে না, সবার আন্তরিকতা থাকতে হবে। তাহলেই নতুন অগ্রগামী বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব হবে।’