স্পর্ধা নিউজ প্রতিদিন।। আন্তরর্জাতিক ডেস্ক।।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেকশিনকে খুন করতে চেয়েছিল ইজরায়েল। তবে বরাতজোরে বেঁচে যান তিনি। ঘটনাটি একমাস আগের হলেও সম্প্রতি তা সামনে এসেছে।
তেহরান:
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেকশিনকে খুন করতে চেয়েছিল ইজরায়েল। তবে বরাতজোরে বেঁচে যান তিনি। ঘটনাটি একমাস আগের হলেও সম্প্রতি তা সামনে এসেছে। ১৩ জুন ইরানে হামলা চালায় নেতানিয়াহুর দেশ। নতুন করে পশ্চিম এশিয়া উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এর তিনদিন পরে তেহরানে এয়ারস্ট্রাইক হয়। তাতে অল্প জখম হন মাসুদ। পায়ে আঘাত লাগে তাঁর। গত সেপ্টেম্বরে লেবাননের রাজধানী শহর বেইরুটে একই কায়দায় হিজবুল্লা নেতা হাসান নাসারুল্লাকে খতম করে ইজরায়েল। ইরানি গোয়েন্দাাদের দাবি, সেভাবেই তাঁদের প্রেসিডেন্টকেও খতম করতে চেয়েছিল ইজরায়েল।
ইরানের ইসলামিক রেভেলিউশন গার্ড কোরের (আইআরজিসি) সহযোগী সংবাদ সংস্থা ‘ফার্স’ প্রেসিডেন্ট মাসুদকে খুনের চক্রান্ত নিয়ে রবিবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানেই হামলার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে। ফার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৬ জুন পশ্চিম তেহরানের একটি বাড়িতে ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ে। সেসময় আবাসনের নীচের তলায় সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠক চলছিল। ওই বৈঠকে প্রেসিডেন্ট মাসুদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংসদের অধ্যক্ষ মহম্মদ বাঘের ঘালিবাফ এবং বিচারবিভাগের প্রধান গোলামহোসেন মহসিন এজেই। আবাসনের প্রবেশ ও খিড়কিতে অন্তত ছ’টি বোমা আছড়ে পড়েছিল। ইজরায়েলের উদ্দেশ্য ছিল বৈঠকে উপস্থিত শীর্ষকর্তাদের দমবন্ধ করে মেরে ফেলা। এভাবেই বেইরুটে হিজবুল্লা প্রধান নাসারুল্লাকে খুন করা হয়েছিল।
ফার্স-এর খবর অনুযায়ী, প্রথম বিস্ফোরণের পরেই সকলে সতর্ক হয়ে যান। এরপর জরুরি ব্যবস্থা ব্যবহার করে তাঁদের বার করে আনা হয়। রিপোর্টে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্ট মাসুদ সহ অন্যরা পায়ে সামান্য চোট পান।’ গোয়েন্দারা এখন খতিয়ে দেখছেন, গোপন সেই বৈঠকের খবর কীভাবে পেল ইজরায়েল? বৈঠকের স্থান এবং দিনক্ষণ প্রশাসনের ভিতরের কেউ জানিয়েছিল কি না, সেই নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ফার্সের পক্ষ থেকে সেই বৈঠকের স্থান নিয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে ইরান ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, সেই বৈঠক হয়েছিল পশ্চিম তেহরানের শাহরক-ই ঘর্বের কাছে।