স্পর্ধা নিউজ প্রতিদিন।।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য পলাতক মাহবুবুল আলম হানিফ এবং তার স্ত্রী ফৌজিয়া আলমের বিরুদ্ধে প্রায় ৩২ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সন্দেহভাজন লেনদেনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫ তারিখে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।
দুদকের দায়ের করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মাহবুবুল আলম হানিফ তার ১৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ৮৬৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকার বেশি সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। তার নামে জ্ঞাত আয়ের বাইরে ২৭ কোটি ৩৯ লাখ ২৯ হাজার টাকার সম্পদ ভোগ দখলে রয়েছে। একই সঙ্গে তার স্ত্রী ফৌজিয়া আলম স্বামীর সহযোগিতায় ৪ কোটি ৬৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন এবং তার ১৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ৩৩ কোটি ১৩ লাখ টাকার সন্দেহভাজন লেনদেন হয়েছে।
এছাড়া, হানিফ দম্পতির তিন সন্তানের—ফাহিম আফসার আলম, ফারহান সাদিক আলম ও তানিশা আলম—নামে সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য দুদক থেকে নোটিশ জারি করা হয়েছে। মামলাগুলো দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর বিভিন্ন ধারায় করা হয়েছে।
দুদক জানিয়েছে, মামলাগুলো বর্তমানে তদন্তাধীন এবং অভিযোগের যথার্থতা যাচাই ও প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান ও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই মামলার খবর রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান এবং উচ্চপর্যায়ের রাজনীতিবিদদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দুদক এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।