স্পর্ধা নিউজ প্রতিদিন।।
মাইক্রোসফটের কর্মীরা এতদিন ঘরে বসেই কাজ করতে পারছিলেন। অনেকেই যদিও বলেন ওয়ার্ক ফ্রম হোম সুবিধার, অনেকের মত একেবারে উল্টো। তাঁদের মতে, এই পন্থায় সংস্থা কাজ করিয়ে নেয় বেশি। কেউ কেউ আবার বাড়িতে বসে অফিস করতে খুব একটা স্বচ্ছন্দ নন একেবারেই। এই সংস্থা এবার কর্মীদের জন্য নিয়েছে বড় সিদ্ধান্ত। আর ঘরে বসে কাজ নয়। এবার থেকে কাজের জন্য, কর্মীদের যেতে হবে অফিসেই।
সংস্থা মাইক্রোসফট। সূত্রের খবর, এই সংস্থা কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম পর্ব মিটিয়ে এবার সপ্তাহে তিনদিন করে অফিস যাওয়ার কথা জানিয়েছে। সংস্থার এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং চিফ পিপল অফিসার অ্যামি কোলম্যান ব্যাখ্যা করেছেন যে, এই পদক্ষেপটি ধীরে ধীরে চালু হবে এবং ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে সম্পূর্ণরূপে চালু করা হবে। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্রমবর্ধমান যুগে এই পদক্ষেপ প্রয়োজনীয় বলেই মত সংস্থার।
সংস্থা এই বিষয়ে একটি মেমো জারি করেছে, তাতে উল্লিখিত, নতুন নীতিমালা কিছু কর্মীর জন্য একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন বলে মনে হতে পারে। কোলম্যান জোর দিয়ে বলেন যে মাইক্রোসফ্ট কর্মীদের পুরনো পন্থা ফেলে ফের আগের মতো অফিসে আসার বিষয়টির টাল সামলানোর জন্য পর্যাপ্ত সময় দিচ্ছে এবং পরিবর্তনটি মসৃণ করার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে সংস্থা। তিনি কর্মীদের আশ্বস্ত করেছেন যে, ফের অফিসে ফিরিয়ে কাজ করানোর বিষয়টি যদিও কর্মী সংখ্যা হ্রাস করার বিষয়ে নয় বরং টিমওয়ার্ক উন্নত করার এবং আরও ভাল ফলাফলের লক্ষ্যে।
কিন্তু কেন সপ্তাহে কেবল তিনদিন?
কোলম্যান জানিয়েছেন অতিমারী পূর্ব সময়ের মতো, একেবারে ছুটির দিন ছাড়া সবদিন নিয়ম মাফিক অফিস, এই নিয়মে এখনই ফিরছে না সংস্থা। তবে গঠনমূলক কাজের জন্য, একসঙ্গে, মুখোমুখি বসা প্রয়োজনীয় বলেই মত তাঁর। কোলম্যানের ব্যাখ্যা-'মানুষ যখন একসঙ্গে আরও বেশি করে কাজ করে, তখন তাঁরা উন্নতি লাভ করে, কাজের প্রতি উজ্জীবিত হয়, ফলাফলও হয় অনেক ভাল।'
পুনরায় অফিসে ফিরে কাজের বিষয়টি সংস্থা চালু করবে মূলত তিনটি ধাপে-
প্রথমত, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে পুগেট সাউন্ড অঞ্চলে শুরু হবে প্রথম ওয়ার্ক ফ্রম অফিসের ধারা। তারপর এটি অন্যান্য মার্কিন অফিসে প্রসারিত হবে এবং অবশেষে, এটি মাইক্রোসফ্টের আন্তর্জাতিক অফিসগুলিতে বাস্তবায়িত হবে।
অফিসের ৫০ মাইলের মধ্যে বসবাসকারী কর্মচারীদের প্রথম পর্যায়ে অফিসে আসার নির্দেশ দেওয়া হবে বলে তথ্য। মেমোতে ম্যান্ডেট অনুসরণ না করা কর্মীদের জন্য কী পরিণতি হতে পারে তা নির্দিষ্ট করা হয়নি যদিও। পুরনো নিয়ম ফেরানোর বিষয়ে সংস্থা কর্মীদের মনোভাব বুঝছে বা বোঝার চেষ্টা করছে, এই বার্তা দেওয়া হয়েছে বারবার। কোলম্যান জোর দিয়ে বলেছেন যে কোম্পানি বুঝতে পারে যে এই পরিবর্তন কারও কারও জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। সংস্থা কর্মীদের সুবিধা-অসুবিধার কথা ভাবছে, এই বার্তাও দেওয়া হয়েছে।