স্পর্ধা নিউজ প্রতিদিন।।

গতকাল হঠাৎ করেই প্রধান উপদেষ্টা একটা জরুরী সভা ডেকেছিলেন দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের সাথে। সেখানে মূলত আলোচনা হয়েছিল, জুলাই সনদ এবং সে সনদ কবে স্বাক্ষর করা হবে সেটা নিয়ে এবং সেই সংগে ফেব্রুয়ারীর নির্বাচন নিয়ে। সেখানে প্রধান উপদেষ্টার সামনে বসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাই কথা বলেছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহাম্মদ সাহেব কিছু কথা বলেছেন। একথা গুলো আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে বলে শেয়ার করতে চাই, এবং দু’একটা বিষয় নিয় একটু কথাও বলতে চাই।

সালাউদ্দিন আহাম্মদের বক্তব্য নিয়ে পত্রিকায়,দৈনিক প্রথম আলো একটা রিপোর্ট করেছে, সেই রিপোর্টের শিরোনাম হলো,’ আমরা চাই আপনার সাথে প্রতিরক্ষাবাহিনীর সুসম্পর্ক বজায় থাকুক ‘। এই একি ধরনের শিরোনাম আরও কয়েকটি পত্রিকা ইত্তেফাক, আজকের পত্রিকা, এরা অনেকেই এইধরনের একটা রিপোর্ট করেছে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, প্রধান উপদেষ্টার সাথে প্রতিরক্ষাবাহিনীর সুসম্পর্ক থাকুক এই প্রত্যাশা করেছেন সালাউদ্দিন আহাম্মদ। মানে দেশের প্রধানতম রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতা এবং সেটা প্রত্যাশা উনি করেছেন প্রধান উপদেষ্টার সামনে বসে! কেন? প্রধান উপদেষ্টার সংগে কি প্রতিরক্ষাবাহিনীর সু সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে? অথবা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে? অথবা এমন কোনো ঘটনা কি ঘটেছে যেটাকে কেন্দ্র করে প্রধান উপদেষ্টার সংগে সশস্ত্রবাহিনীর-প্রতিরক্ষাবাহীনিগুলোর সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে? সেটা কি? কে ঘটিয়েছে তেমন কিছু? নাকি উনি নিজেই ঘটিয়েছেন?

আসেন আমরা আরেকটু ভেতরে যাই, উনি কি বলেছেন? আসুন সংবাদটা পড়ে দেখি তাহলে নিজেরাই ধারনা করতে পারবেন, – তিনি বলেছেন, “আমরা চায়না প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর মধ্যে কোন রকমের ভারসাম্য নষ্ট হউক”। প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর মধ্যে রকমের ভারসাম্য নষ্ট হউক! এটা কেন বলছেন? দেখুন আমি প্রশ্নগুলি করছি। প্রশ্নগুলি কি মানুষের মনে আসা সাভাবিক নয়? উনার মত গুরুত্বপূর্ণ নেতা যখন বলছেন, যে উনি চাননা যে প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর মধ্যে কোন ধরনের ভারসাম্য নষ্ট হউক। তখন কিন্তু আমাদের মধ্যে প্রশ্ন উকি দে তাহলে একটা বিশেষ ঘটনা তাহলে ঘটেছে। যে ঘটনার প্রেক্ষিতে উনার মনে হয়েছে যে প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর মধ্যে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কার কারণে যাচ্ছে? কি ঘটনা ঘটেছে এর মধ্যে? আর নষ্ট হয়ে গেলে কি হবে? উনি তার পরের বাক্যেই বলেছেন, ” আমরা সেটি এফোর্ট করতে পারবোনা এই মুহুর্তে “। তার মানে বিষয়টি সামথিং সিরিয়াস! তার পরে বলেছেন, ” আমরা চায় আপনার সাথে প্রতিরক্ষাবাহিনীর সুসম্পর্ক বজায় থাকুক, রাষ্ট্র একটা ব্যালেন্সড অবস্থায় থাকতে হবে, আমরা নির্বাচনকে সামনে রেখে কোন রকমের ঝুঁকির মধ্যে যেতে চাইনা, যেতে পারবোনা, সেটা আমরা এফোর্ট করতে পারবোনা”।

নির্বাচনকে সামনে রেখে, তার মানে এই সময়, নির্বাচন তো সামনে এখন, ফেব্রুয়ারিতে যদি নির্বাচন হয় আরতো মাত্র চার মাস আছে। তার মানে নির্বাচন একদম সামনে, এই সময় কিছু ঘটছে তাহলে। নির্বাচনকে সামনে রেখে এফোর্ট করতে পারবোনা। তার মানে এখনি কিছু ঘটছে? কি সেটা?