1. news@spordhanews.com : স্পর্ধা নিউজ প্রতিদিন : স্পর্ধা নিউজ প্রতিদিন
  2. info@www.spordhanews.com : স্পর্ধা নিউজ প্রতিদিন :
শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ১০:১৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
এপ্রিল ২০২৬ নির্বাচন ঘোষণার মধ্যে দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে উপেক্ষা করা হয়েছে…………পলিটব্যুরো, ওয়ার্কার্স পার্টি সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটি গঠন সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে গরু ও চামড়া পাচার রোধে কঠোর অবস্থানে বিজিবি। মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা পরিবর্তন: ইতিহাস না কি বিভ্রান্তি গাজাবাসীর ঈদ ক্ষুধা আর যুদ্ধে ম্লান হয়ে গিয়েছে !! নিরর্বিকার মুসলিম নামের নঙ্গপুনংষক মুসলিম দেশ ।। পাটকেলঘাটায় ওয়ান ডে কাবিং ক্যাম্প অনুষ্ঠিত নিবন্ধন ফিরিয়ে দিয়ে ‘৭১ এর যুদ্ধাপরাধী দলটির অপকর্মের ইতিহাসকে ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টা হলো —-ওয়ার্কার্স পার্টি ডায়াবেটিস সুস্থতার সন্ধানে শহীদ ছাত্রনেতা ডাঃ জামিল আকতার রতন ।। রাষ্ট্রধর্ম বিল বাতিল ।। মৌলবাদী রাজনীতি নিষিদ্ধের আন্দোলন ।। রগকাটা থেকে গলাকাটা পর্ব – ২ শহীদ ছাত্রনেতা ডাঃ জামিল আকতার রতন।।রাষ্ট্রধর্ম বিল বাতিল ও মৌলবাদী রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবীতে প্রথম প্রতিবাদী শহীদ।

জনতার মেনন এবং তাঁর মুক্তি প্রসঙ্গে:

হাফিজ সরকার
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০২৫
  • ৩১৪ বার পড়া হয়েছে

 

স্পর্ধা নিউজ প্রতিদিন অনলাইন ডেস্ক:

‘৬২ থেকে ‘২৪-সাম্রাজ্যবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, দুর্নীতি-লুটপাট, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন কিংবা শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সময়ের এক সাহসী কণ্ঠস্বরের নাম রাশেদ খান মেনন। মজলুম মানুষের নেতা মওলানা ভাসানী, স্বাধীন বাংলাদের রূপকার বঙ্গবন্ধু, উপমহাদেশের কিংবদন্তী কমিউনিস্ট বিপ্লবী কমরেড জ্যোতিবসু, কমরেড অমল সেন, কিউবান বিপ্লবের মহানায়ক ফিদেল ক্যাস্ত্রো’সহ বিশ্বনেতাদের সাহচর্যে ‘জীবন দখল করো এবং বিলিয়ে দাও’-ব্রত নিয়ে গণমানুষের নেতায় পরিণত হওয়া এক বিপ্লবী জীবন্ত কিংবদন্তী। আয়ুব-ইয়াহিয়া, জিয়া-এরশাদের সামরিক শাসনের নির্মম নির্যাতন ও ঘাতকের বুলেটের আঘাতেও যার প্রতিবাদী কণ্ঠ স্তব্ধ করা যায় নি, আজ তাকেই আটকে রাখা হয়েছে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায়। গত ২২ আগস্ট বিকাল সোয়া পাঁচটায় গুলশানের বাসা থেকে সাদা পোশাকের পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরের দিন ২৩ আগস্ট উঠানো হয় ঢাকা মেট্রোপলিট্রন আদালতে। তিন দফা রিমান্ড শেষে কমরেড মেনন এখন লড়াইয়ের ময়দান থেকে কারাগারের চার দেয়ালে বন্দি। ষাটের দশকের দুর্বার ছাত্র আন্দোলনে যে মানুষটি সামরিক আয়ুব বাহিনীর বুলেটের সামনে বুক পেতে সাধারণ ছাত্রদের রক্ষা করেছেন, শিল্পাঞ্চলের শ্রমিক কিংবা গ্রামীণ কৃষক-ক্ষেতমজুরের ন্যায্য দাবির লড়াইয়ে যিনি সাধারণ মানুষকে আগলে রেখেছেন বটবৃক্ষের ছায়া হয়ে, তার বিরুদ্ধেই ‘২৪-এর কোটা বিরোধী ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে হামলা-হত্যাকাণ্ডে উস্কানি ও ইন্ধনের অভিযোগ!

 

দাবি উঠেছে, ৩২ বছর আগে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা সাধারণ মানুষের রক্তঋণে আবদ্ধ কমরেড মেনন কোনো গোষ্ঠী বা দলের নয়, মৃত্যুঞ্জয়ী এই বিপ্লবী জনতার। আমরা ‘জনতার মেননে’র মুক্তি চাই। জুলাই গণহত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। ১৪ দলে ছিলেন, কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের কর্তৃত্ববাদী শাসন ও দুর্নীতি-লুটপাট, স্বজনপ্রীতি, অর্থপাচার, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের নৈরাজ্যে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি আর গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি’সহ সেবার মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবন যখন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল, তিনি প্রতিবাদী ছিলেন সংসদে, সংসদের বাইরে। কৃষি, শিল্প, স্বাস্থ্য, শিক্ষা’র বেহাল দশায় ক্ষোভে ফুঁসছিলেন সাধারণ মানুষ। জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস ওঠা মানুষের পুঞ্জিভূত সেই ক্ষোভআর দেশি-বিদেশি সাম্রাজ্যবাদ-সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্র মিলেমিশে একাকার হওয়া কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলন রূপ নেয় সরকার বিরোধী জুলাই গণঅভ্যুত্থানে। যার পরিণতিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন। সময়ের প্রয়োজনে কমরেড রাশেদ খান মেনন ও তার দল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা রক্ষা এবং সংবিধান ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা এগিয়ে নিতে আওয়ামী লীগের সাথে ঐক্য করলেও ক্ষমতাসীন সরকারের গণবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন ধাপে ধাপে। সংসদ থেকে রাজপথ-কমরেড রাশেদ খান মেনন সরকারের দুর্নীতি-লুটপাট, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য, অর্থপাচার ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ছিলেন সদা সোচ্চার। কোটা বিরোধী আন্দোলনেও তিনি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেবার আহ্বান জানিয়েছিলেবন থাকতেই। বার বার সরকারকে সময় থাকতেই। বার বার সরকারকে সতর্ক এবং শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। জাতীয় দৈনিক, ইলেট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমে তার স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। ১৪ জুলাই প্রথম আলোয় প্রকাশিত এক অভিমতে মেনন। বলেছিলেন, আদালতের ওপর দায় না রেখে মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধানের আলোকে কোটা সমস্যা সমাধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ।

 

তিনি বলেছিলেন, এ দায়িত্ব সরকারের। একই পত্রিকায় ১৮ জুলাই প্রকাশিত বিবৃতিতে তিনি কোটা সংস্কারের পক্ষেই মতামত দিয়েছিলেন। ৩ আগস্ট প্রকাশিত বিবৃতিতে রাশেদ খান মেনন ছাত্রদের ৯ সফা দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। ছাত্র নেতৃত্বকেও আলোচনায় বসার আহ্বান জানান। পরের দিন ৪ আগস্ট প্রথম আলোর সাথে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আলোচনা ছাড়া সমাধান নেই।” এমনকি রংপুর রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদ হত্যার পর মেননের স্পষ্ট উচ্চারণ ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’। এইসব বক্তব্য ও বিবৃতি থেকে স্পষ্ট বলা যায় তিনি, ছাত্র আন্দোলনের পক্ষেই ছিলেন।

তাহলে কেন আজ তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা?

কেন এদেশের ছাত্র আন্দোলন ও গণআন্দোলনের এই সাহসী কন্ঠস্বর কারা অভ্যন্তরে বন্দি?

প্রশ্ন রাজনৈতিক সচেতন মানুষের, প্রশ্ন সাধারণ জনতার। রাজনীতি বিশ্লেষক ও সচেতন মানুষের মন্তব্য, আজীবন সুস্থ ধারার রাজনীতির আইকন রাশেদ খান মেনন বানের জলে ভেসে আসা কোনো নাম নয়। হঠাৎ জ্বলে ওঠা স্ফুলিঙ্গও নন। লড়াই-সং-গ্রামের পরীক্ষিত যোদ্ধা। ষাটের দশকে ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে এসেছিলেন আইয়ুববিরোধী সামরিক শাসন ও বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি। ‘৬৪-৬৭ সালে ছিলেন তৎকালীন সর্বোবৃহৎ সংগঠন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েই তিনি ‘৬২ সালে নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হরে ৬৯ সাল অবধি বিভিন্ন মেয়াদে নেতা মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বাধীন কৃষক সমিতিতে যোগ দেন। ‘৬৪-র সাম্প্রদায়িক সঙ্গী প্রতিরোধ সংগ্রামেও ছিল তার অনন্য ভূমিকা।

‘৭০-এর ২২ ফেব্রুয়ারি ‘স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ব বাংলা’র প্রথম প্রকাশ্য ঘোষণা তিনি’ই দিয়েছিলেন। সেজন্য তার কারাদণ্ড হয়েছিল, সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। মহান বৃক্তিযুদ্ধে কমরেড মেনন ও তার সহযোদ্ধারা নরসিংদীর শিবপুর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। ভারতে গিয়ে সব বামপন্থি সংগঠন নিয়ে জাতীয় মুক্তি সমন্বয় কমিটি’ গঠন করেন।

জেনারেল এরশাদের সামরিক শাসনামলে * সম্মিলিত কৃষক সংগ্রাম পরিসদ এবং * শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) গড়ে তোলায় অগ্রগামী ভূমিকা রাখেন। ‘৮২-তে এরশাদ-এর সামরিক শাসনের সূচনা হলে

* প্রথম সামরিক শাসন বিরোধী বিবৃতি তার হাতেই তৈরি হয়। ৮৩-র মধ্য ফেব্রুয়ারির পর সেনানিবাসের নির্জন সেলে তাকে আটক রাখা হয়। পাঁচ, সাত ও আট দলের ঐতিহাসিক তিন জোটের রূপরেখার ভিত্তিতে এরশাদ-এর স্বৈরাচারের পতন হয়; এই আন্দোলনে মেননের অন্যন্য ভূমিকা ছিল। * বাম গণতান্ত্রিক ফন্ট, তেল-গ্যাসাসহ জাতীয় সম্পদ রক্ষায় গঠিত জাতীয় কমিটি গঠন এবং লংমার্চের মাধ্যমে গ্যাস রপ্তানি প্রতিরোধে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। সময়ের প্রয়োজনে *১১ দল গঠন এবং * আওয়ামী লীগ, জাসদ, ন্যাপাসহ চৌদ্দ দলের আন্দোলন সংগ্রামে কমরেড মেনন ছিলেন অগ্রগামী নেতা। *২৩ দফা কর্মসূচি প্রণয়নেও রয়েছে তার মুখ্য ভূমিকা। ওয়ান ইলেভেনে সবাই যখন মুখে কুলুপ এঁটে বসেছিলেন, কমরেড রাশেদ খান মেনন তখন * ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’র প্রতিবাদে সাচ্চার ছিলেন। জরুরি অবস্থা জারির মধ্যেও তিনি সরকারের বস্তি লিজ, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নামে হাট-বাজার উচ্ছেদ, দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির বিরুদ্ধে দৃড় অবস্থান নেন। সর্বপরি এইসময়ের ‘মাইনাস টু থিয়োরি’, তথাকথিত সংস্কার প্রস্তাব ও বিশেষ পৃষ্ঠপোষকতায় রাজনৈতিক দলসমূহে ভাঙন সৃষ্টি, ‘কিংস পার্টি’ গঠন এবং একটি নিয়ন্ত্রিত রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর।

 

দেশে সাম্প্রদায়িক তৎপরতা, বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের কাছে সরকারের নতজানু নীতি, পাটশিল্পের ধ্বংস সাধন, মুক্তবাজার অর্থনীতির নামে লুটপাটের নীতি অনুসরণের দৃঢ় বিরোধিতা করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, শত্রু সম্পত্তি আইন বাতিল, শ্রমিক স্বার্থবিরোধী শ্রম অধ্যাদেশ বাতিল, গার্মেন্টস শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন ও মজুরির নিশ্চয়তা, জাতীয় শিল্প রক্ষা, তেল-গ্যাস ও শিল্পসম্পদ রপ্তানি নিষিদ্ধকরণ, নারী নীতি বাস্তবায়ন, পরিবেশ রক্ষা, প্রতিবন্ধীদের অধিকার, শিশু অধিকারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সংসদ ও রাজপথে সোচ্চার থেকেছেন।

 

সংসদে দৃঢ় কণ্ঠে উচ্চারণ করেছেন, “দেশে লুটপাটের মহোৎসব চলছে। গোটা বাংলাদেশ আজ দুর্নীতিবাজ-লুটেরা দুর্বৃত্তদের হাতে বন্দী।” এ সময় তিনি বলেছেন, ‘করোনার চেয়েও আমলাতন্ত্র ভয়ঙ্কর”, বলেছেন, “দুর্নীতির ঘুনপোকা উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করছে।” প্রতিবাদ করেছেন সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অব্যবস্থাপনা আর দুর্নীতির চিত্র নিয়েও।

বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ নিজের জন্য নয়, রাজনীতি করছেন দেশ ও মানুষের প্রয়োজনে। তাই গণতন্ত্র, সংবিধান, দেশ ও জনগণের অধিকার আদায়ে সাম্রাজ্যবাদ-সাম্প্রদায়িকতাকে রুখতে তিনি সময়ের ডাকে সাড়া দিয়ে সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। জনগণের লড়াইয়ের সেই পরীক্ষিত নেতা আজ ষড়যন্ত্রের জালে আটকা। তারপরেও রাজনীতির এই জ্বলন্ত প্রদীপের আলো কেউ নিভাতে পারবে না। শ্রমজীবী মানুষের সংগ্রামের ভরসাস্থল জনতার মেননের মুক্তি চান সাধারণ মানুষ।

সম্পাদনাঃ

হাফিজ সরকার

সাবেক ছাত্রনেতা, লেখক ও কলামিস্ট

হাফিজ সরকার

সাবেক ছাত্রনেতা, লেখক ও কলামিস্ট

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট