1. news@spordhanews.com : স্পর্ধা নিউজ প্রতিদিন : স্পর্ধা নিউজ প্রতিদিন
  2. info@www.spordhanews.com : স্পর্ধা নিউজ প্রতিদিন :
রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ১১:৫২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
তবে কি ভারতকে প্যাঁচে ফেলতে চীন-পাকিস্তান-বাংলাদেশ সার্কের বিকল্প জোট গঠন ?? বিএনপির কর্মী আটক।। ভিজিএফ কার্ড নিয়ে যুবক খুনের অভিযোগ।। ভেড়ামারায় পদ্মায় তীব্র ভাঙন।। আতঙ্কে তিন ইউনিয়নের নদীপাড়ের বাসিন্দা।। সাঁওতাল বিদ্রোহ অবিস্মরণীয় অধ্যায় আবরও কিউবার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল আমেরিকার।। কড়া প্রতিবাদ চীনের।। ইমোতে কল দেন ইবি শিক্ষক ! ছাত্রী মোটা না চিকন হয়েছে দেখতে !!! বর্তমান ‘ফিটনেস’ বিহীন উপদেষ্টা পরিষদ দিয়ে জাতীয় নির্বাচন করা সম্ভব নয় ।। চিলিতে এই প্রথম, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী। হোলি আর্টিজান জঙ্গি হামলা থেকে মালয়েশিয়া।। নয় বছরের পরিক্রমা।। সাঁওতাল বিদ্রোহের অমর কাহিনী : — (২)

হোলি আর্টিজান জঙ্গি হামলা থেকে মালয়েশিয়া।। নয় বছরের পরিক্রমা।।

শামশির শরিফ
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫
  • ৩৯ বার পড়া হয়েছে

 

দায় কি যুক্তরাষ্ট্রের, ইসলামোফোবিয়া নাকি ইসলামিক স্টেটের আন্তর্জাতিক কর্মসূচী!?

 স্পর্ধা  নিউজ প্রতিদিন।। বিশেষ প্রতিবেদন।।

কয়েকদিন আগে পত্রিকার সংবাদে জানা যায় মালয়েশিয়ার পুলিশ কয়েকজন বাংলাদেশীকে আটক করেছে যাদের কয়েকজনের সাথে আইএস বা ইসলামি স্টেটের সম্পর্ক রয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন। তাই বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। কিন্তু খবরটা বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ছাপিয়েছে। খবরের গুরুত্ব হলো আইএস এখনো বাংলাদেশী তরুণদের আকৃষ্ট করছে। কালের প্রবাহে আজ হলি আর্টিজানে হামলার নয় বছর। এমনকি একদিনে সংঘটিত এই হামলা বাংলাদেশকে হতভম্ব করে দিয়েছিল। এটা নতুন একটা রাজনৈতিক মোড়কে পরিচিত করেছিল। এক, বাংলাদেশের প্রধান ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো বিগত বছরগুলোতে এবং এখনো এই ধরনের সন্ত্রাসী আক্রমণের রাজনীতি করে না। বাংলাদেশের ঐতিহ্য মেনে সংসদীয় গনতন্ত্র বা নির্বাচনমুখী রাজনীতি তারা করেন। হোলি আর্টিজানের হামলা তার বিপরীত একটা ধারার জন্ম দিল। দুই, রাষ্ট্র এই হামলাকে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করার পরিবর্তে দমন মূলক পন্থা নিল যার মাধ্যমে অনেক নিরপরাধও তার শিকার হয়েছেন মর্মে অভিযোগ আছে। তিন, এই ধরনের হামলার জন্য দেশে বেশকিছু নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে যারা খিলাফত কায়েমের জন্য সশস্ত্র প্রস্তুতি নিতে থাকলো, এবং তারা অনলাইন কার্যক্রমকে মূখ্য করলেন। আইএস এবং তাদের দাবি তারা আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কে সম্পৃক্ত। অন্য দিকে, সরকার জঙ্গি দমনের জন্য একটা ইউনিট গঠন করলো এবং একটা এলিট ফোর্সকে কাজে লাগালো যাদের বিরুদ্ধে এখন মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।

এখানে উল্লেখ করা যায়, বাংলাদেশে জঙ্গি হিসেবে যাদের বিচার শুরু করেছেন সেই বিচারও মানসম্মত হয়নি বলে অভিযোগ আছে। বড় অভিযোগ হলো, জঙ্গি দমনের সাথে বিরোধী রাজনৈতিক দমনকে সম্পর্কীত করা হয়েছিল, ফলে জঙ্গিরা রাজনৈতিক ও মানবাধিকার কর্মীদের কাছে সহানুভূতি পেয়ে যায়। কারণ, তাদের বিচারকে ইসলামবিরোধী হিসেবে পরিচিত করতে সমর্থ হয়। বিষয়টা শেষ পর্যন্ত অমীমাংসিতই থেকে যায়। যার কারণে, আইএস বাংলাদেশে তার কার্যক্রমকে আড়ালে রাখতে পারলেও মালয়েশিয়ায় পুলিশের নজরে পড়লো।

একথা সুবিদিত যে, বিশ্বজুড়ে আইএসের উত্থানকে যুক্তরাষ্ট্রের ইসলামোফোবিয়ার সাথে সম্পর্কীত। এর একটা ঐতিহাসিক পরিক্রমা আছে। তিরিশের দশকে আরব দেশগুলো থেকে বৃটিশরা চলে যাওয়ার সময়ে মুসলিম দেশগুলোর সাথে তাদের সম্পর্ক ও আধিপত্য বজায় রাখার জন্য একটা নীতিমালা গ্রহণ করে। তার ফলাফল, ইজরায়েল নামক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা। ইতিমধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সাথে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে যোগ দেয়। আশির দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তানের রাজনীতিতে প্রবেশ করলে যুক্তরাষ্ট্র মুজাহিদ ও পরে তালেবান গঠনে অর্থ সাহায্য দেয়। অস্ত্র দেয়। এখানে কমিউনিজমকে শক্র করে ইসলামের তত্ত্ব তৈরি করে তারা। অন্য দিকে, শিয়া সুন্নী বিরোধকে কাজে লাগায়। ধীরে ধীরে টুইনটাওয়ারে হামলার পর তারা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। এখানে ইসলামকে সন্ত্রাস বা সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে তারা তত্ত্ব তৈরি করে। ইসলামকে তারা বর্বর এবং মুসলমানদের জঙ্গি রুপে চিত্রায়িত করে দুনিয়া ব্যাপী মুসলিম ও ইসলামের বিরুদ্ধে হামলা ও প্রচার শুরু করে। এটাকে তারা বললো, সভ্যতার সংঘাত, ইসলামের সাথে ইউরোপ আমেরিকার সংঘাত। এটাকে তারা ইরান, লিবিয়া ধ্বংসে কাজে লাগায় এবং ফিলিস্তিনের মানুষকে বর্বর ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা শুরু করে। পরে আইএস দমনেও তারা যুদ্ধ করে। এই যুদ্ধে তারা সৌদি আরব ও তুরস্ককে কাছে পায়। ফলে বিষয় টা জটিল হয়ে যায় মুসলিম বিশ্বের নিকট। উইকিলিকসের ফাঁস তথ্যে দেখা যায়, আইএস তৈরির পেছনেও যুক্তরাষ্ট্রের হাত ছিল। আইএস এক পর্যায়ে বিভিন্ন দেশের মুসলিম তরুণদের নিকট জনপ্রিয় হয়। বাংলাদেশেও তারা খিলাফত কায়েমের লক্ষ্যে সক্রিয় হয়।

এখানে বলে রাখা ভালো বাংলাদেশের প্রধান ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো সাথে এদের সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের অনেকেই খেলায়েত চান তবে তা নিয়মতান্ত্রিক পথে। বাংলাদেশের রাজনীতি ও সমাজে আইএস একটা মতাদর্শ। তার সাথে মতাদর্শিক মোকাবিলা ছাড়া তাকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে দমন ফলপ্রসু হয়নি। হওয়ার কথাও না। বর্তমানে সরকার বলছেন, বাংলাদেশে তাদের অস্তিত্ব থাকলেও তারা হুমকি নন। কিন্তু সমাজে রাষ্ট্রে আইএসের মতাদর্শ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সামনে নির্বাচন। এই নির্বাচনে ইসলামপন্থী দলগুলো অংশ নিবে। তাদের কর্মসূচিতে শান্তিপূর্ণ পথে ক্ষমতা দখলের বিষয়টা স্পষ্ট। এখানে তাই আইএসের ধারণার সাথে একটা পার্থক্য আছে। তবে মনে রাখতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রের ইসলামোফোবিয়া এখনো পররাষ্ট্র নীতিতে আছে। বুশ নিউইয়র্কের মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে তাঁর বক্তব্যে তার প্রমাণ রেখেছেন।

পরিশেষে, হলি আর্টিজানে যাঁরা আইএসের হামলায় নিহত হয়েছেন তাঁদের প্রতি সম্মান জানাই এবং সকলেই ন্যায় বিচার পাক।যুক্তরাষ্ট্রের ইসলামোফোবিয়ার স্বরূপ এবং বৈশ্বিক ইসলাম বনাম উত্তরের দেশের যুদ্ধকে অনুধাবন বা পরিপ্রেক্ষিতে না রাখলে এই মতাদর্শকে বোঝা যাবে না।

 

শামশির শরিফ

লেখক ও কলামিস্ট।।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট