1. news@spordhanews.com : স্পর্ধা নিউজ প্রতিদিন : স্পর্ধা নিউজ প্রতিদিন
  2. info@www.spordhanews.com : স্পর্ধা নিউজ প্রতিদিন :
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
সোভিয়েত ইউনিয়নে কমিউনিস্ট আন্দোলনের বিশ্বাসঘাতকতা ড. ইউনূসের জাতিসংঘ সফর: আওয়ামী লীগের বিক্ষোভের প্রস্তুতি! স্মরণ: শহীদ জুবায়ের চৌধুরী রিমু- এবার ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হল শেখ হাসিনার আবু জাফর ও ফরিদা পারভীন ।। আদর্শের জন্য গভীর গোপনে ভালোবাসা ও বন্ধন ত্যাগকরা দুজন মানুষ।। দল নিষিদ্ধ করলে নির্বাচন কাদের নিয়ে হবে ? প্রশ্ন জনমনে মাইক্রোসফটের কর্মীদের জন্য খারাপ খবর! নেপাল কেন রক্তাক্ত হলো ? বলিউড তারকা –বিজেপি নেতা- মিঠুন চক্রবর্তী তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ১০০ কোটি রুপির মানহানি মামলা করেছে। ট্রাফিক ব্যবস্থা বিশৃঙ্খলাপূর্ণ হওয়ায় মোটরসাইকেল বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বাহন হয়ে উঠেছে

রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের চীন- ভারত নির্ভরতার দূর্বলতা।। যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের সামরিক করিডোর চাওয়া ।। রোহিঙ্গারা কি মার্কিনিদের কামনের গোলা হবে ! ?

শামশির শরিফ
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫
  • ৩৯৮ বার পড়া হয়েছে

 

 

স্পর্ধা নিউজ প্রতিদিন।। বিশেষ প্রতিবেদন।।

 সম্প্রতি রোহিঙ্গা সংকটের কিছু নতুন মোড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এক, ভারত রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সুর গরম করেছে। তারা জনা তিরিশ- চল্লিশেক রোহিঙ্গাকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে মাস খানেক আগে আন্দামান দ্বীপের আশেপাশে লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে নামিয়ে দেয়। কয়েকটি দেশ তা তদন্ত করছে। আসামে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে কয়েক শ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে পুশ ব্যাক করেছে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী মিয়ানমারে অবস্থিত আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী এক সংগঠন উলফার ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা করেছে। ভারতের আদালত রোহিঙ্গা বিষয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো আদেশ দেয়নি। এমনকি পশ্চিম বঙ্গ ও ত্রিপুরার মানবাধিকার সংগঠনগুলো বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা বলে ভারতের বাংলাভাষী অধিবাসীদের বাংলাদেশে জোরপূর্বক ঢুকিয়ে দিচ্ছে। অন্য দিকে ভারত তার কালাদান প্রকল্প এগিয়ে নিচ্ছে যাতে বাংলাদেশের সহযোগিতা ব্যতিত ভারতের সাত রাজ্যকে মিয়ানমারের বন্দরের মাধ্যমে সংযুক্ত করতে পারে।

এতো গেলো ভারতের কথা। দুই হলো, চীন রাখাইনে তার বিনিয়োগকে অক্ষত রেখে বেল্ট এন্ড রোড প্রকল্পকে এগিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকার ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সাথে এখনো ব্যালেন্স সম্পর্ক রেখে চলেছে। যেহেতু মিয়ানমারের সাথে ভারত ও চীনের সুসম্পর্ক রয়েছে বাংলাদেশ সেহেতু এই দুই দেশের উপর নির্ভর করে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের চেষ্টা করেছে। এটা এখন অনেকটা অকার্যকর। কারণ, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সাফল্য। এর মধ্যে আরকান আর্মির সাফল্য হিসাবটা পাল্টে দিয়েছে।

আরাকান আর্মি যুক্তরাষ্ট্রের সুই হয়েছে। তাদের উপর নির্ভর করে তারা ফাল হয়ে বের হতে চায়। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে কোয়াডের সদস্য বা এশিয়া প্যাসিফিকের সদস্য হতে অনেকটা চাপে রেখেছে। বাংলাদেশ প্রতিবেশী ( বৈরি) ভারত ও বিনিয়োগ বান্ধব চীনের বাইরে সামরিক জোটে যেতে চায় না। বাংলাদেশের জনমত সামরিক জোটের পক্ষে নয়। তাই, বাংলাদেশের অনেকে এখন আরকান আর্মিকে করিডোর দেওয়ার পক্ষে নয়। তবে ইদানীং যুক্তরাষ্ট্রের অধিবাসী বাংলাদেশী বেশ কিছু থিংক ট্যাংক করিডোর দেওয়ার পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন। কিন্তু খেয়াল করলে দেখা যাবে আমাদের সামরিক বিশেষজ্ঞগণও বিভক্ত। কেউ পক্ষে, কেউ বিপক্ষে। কারণ আছে। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা নীতি এখনো কোনো সামরিক জোটের পক্ষে নয় কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবাধীন বিশেষজ্ঞরাও বসে নেই। তাঁরা ভাবছেন, আরাকান আর্মির সহযোগী হলে রোহিঙ্গদের ফেরত দেওয়া সহজ হবে। কিন্তু তারা রোহিঙ্গাদের ভাষা বুঝতে পারেননি। রোহিঙ্গারা একক কোনো সত্তা নয়। এখানে নানা মত আছে। সশস্ত্র ইসলামি গোষ্ঠী যেমন আছে, তেমনি জাতিসংঘের অনুগতও আছে। আর বড় কথা হলো, আরাকান আর্মির সাথে রোহিঙ্গাদের জাতিগত বৈরি সম্পর্ক আছে। বহু রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা হয়েছে এদের মধ্যে। রোহিঙ্গাদের ভাষায় তারা মগদের ( আরাকান আর্মি) বিশ্বাস করে না। মগ বা রাখাইনরাও রোহিঙ্গাদের বিশ্বাস করে না। কারণ, দাঙ্গা এবং মিয়ানমার জান্তা সরকারের পক্ষ হয়ে রোহিঙ্গাদের আরকান আর্মির বিরুদ্ধে যুদ্ধ।

জাতিসংঘের মহাসচিবকে রোহিঙ্গারা বিশ্বাস করেনি কারণ রোহিঙ্গারা নিরাপদ নিজ আবাসে ফেরত যেতে চায়। কিন্তু তাদের বাধা তারা নিজেরাই। বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো কয়েকটি গ্রুপের দখলে, তারা নিজেরা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত। সাম্প্রতিক খবরে দেখা যায়, রোহিঙ্গারা আন্তর্জাতিক যোগাযোগের জন্য আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল কাউন্সিল নামে একটা সংগঠন গড়ে তুলেছে। অন্য দিকে, কালও বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চারজন আরাকান রোহিঙ্গা আর্মির সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। অর্থাৎ, বাংলাদেশের পুলিশ রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীকে গ্রেফতার করলেও তাদের থামাতে পারছে না।

বাংলাদেশের এখন দুটি দৃষ্টিভঙ্গী দেখা যাচ্ছে। এক, রাজনৈতিক ভাবে চীন ও ভারতের নির্ভরশীলতা অন্য দিকে অপ্রকাশ্যে রোহিঙ্গাদের সাথে আরাকান আর্মির সমঝোতা করা যায় কীনা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এটা কাজ করছে না ; আরাকানের বৌদ্ধ ও মুসলিম জনগোষ্ঠীর দাঙ্গার স্মৃতি এবং সাম্প্রতিক সময়ে আরাকান আর্মির হাতে প্রায় আড়াই হাজার রোহিঙ্গা নিহত হওয়া এবং তাদের নির্যাতনের কারণে প্রায় দেড় লক্ষ রোহিঙ্গার বাংলাদেশে আগমণ।

আর এসব হিসাব নিকাশ না করে বাংলাদেশ যদি যুক্তরাষ্ট্রের করিডোরের ফাঁদে পড়ে তবে রোহিঙ্গারা ভারত-চীন- মিয়ানমার ও আরাকান আর্মির কামানের গোলা হবে। বাংলাদেশ এক সামরিক জটিলতায় পড়বে এবং তার প্রতিরক্ষা বড় হুমকিতে পড়বে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি রোহিঙ্গা প্রশ্নে সামরিক জটিলতায় না গিয়ে আরও বিশ্ব জনমত গঠনের দিকে যাওয়াই উত্তম মনে হয়। যাঁরা বলছেন, আরাকান আর্মির সাথে যোগাযোগ ও মানবিক করিডোর তাঁরা ভূরাজনীতির বড় শক্তির চোখে সব কিছু দেখছেন। কিন্তু আঞ্চলিক শক্তিগুলো বাংলাদেশকে ছেড়ে কথা বলবে না। যার নমুনা প্রথমেই উল্লেখ করেছি। বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ ভাবে, সময় লাগলেও রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করুক, এই চাওয়া। আরাকান আর্মি ও করিডোরের ফাঁদে পড়লে যুক্তরাষ্ট্রের লাভ; রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশের কামানের গোলা হওয়া ছাড়া আর কোনো লাভ নেই।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট